হিমসাগর/খিরসাপাত আম
এই আম বাংলাদেশের প্রথম G I (Geographical Indication)। হিমসাগর আম অতি উৎকৃষ্ট জাতের, যা বাংলাদেশের মিষ্টি জাতের আমের মধ্যে অন্যতম। পরিপক্ব হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরেও সবুজ থেকে যায়।
এই আম কেনো সবার চেয়ে উৎকৃষ্ট: ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা, বীজ(আম আটি) ছোট আকৃতির, রসালো ও সাথে তো একটা মৌ মৌ ঘ্রাণ আছেই। শাঁস নরম এবং আঁশবিহীন অতি সুমিষ্ট আম। একটা আদর্শ আম বলতে যাকে প্রধান ধরা হবে সেইটা হলো হিমসাগর আম।
আকার: মাঝারি আকারের একটি আম। গড় ওজন ২১০-৩৫০ গ্রাম । মানে এক কেজি হয়তে 4/5 আম প্রয়োজন।
পরিপক্ক সময়কাল: হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়।
প্রাপ্তি স্থান: বাংলাদেশর যেসকল স্থানে আম চাষ হয় সব জায়গায় কিছু পরিমাণের পাওয়া যায় কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর আম কেই GI স্বীকৃতি প্রাপ্ত। এর উন্নতম কারণ এই জেলায় আম আকারে বড় হয় , সবচেয়ে বেশি মিষ্টি , মন মাতানো ঘ্রাণ ও সব চেয়ে বেশি উৎপাদন হয় ।
দাম: আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই। সাথে বিদেশেও এই আম রপ্তানি করা হয়। আবার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই অন্যান্য আম এর চেয়ে এই আম এর দাম তুলনামলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। আপডেট দাম ওয়েবসাইটেই দেওয়া আছে।
রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম চিনবেন যেভাবেঃ
১।পুরো আমের খোসাই উজ্জ্বল হলুদ রঙের হবে যদি সেটা রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়।
২। পাকা আমে যদি রস তুলনামূলকভাবে কম থাকে।(তবে সব জাতের আম এর ক্ষেত্রে না)
৩। ন্যাচারাল আমের গন্ধ আসবে নাহ।
কিভাবে আপনার আম গুলো পাকাবেন?
১। আমগুলো সরাসরি মেঝেতে না রেখে একটি কাগজের খোলা বক্সে কিংবা পেপার এর উপর রাখবেন।
২। আমগুলো হাত দিয়ে চাপবেন না।
৩। কাগজের ব্যাগ বা খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
৪। শুষ্ক এবং গরম জায়গায় রাখুন।
৫। চালের মধ্যে আম গুলো রাখলে দ্রুত পেকে যাবে।
৬। কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
কিভাবে বুঝবেন আম পেকেছে?
১। আমগুলো হালকা অথবা গাড় হলুদ রঙের হবে।
২। পাকা আম থেকে মিষ্টি ঘ্রান পাবেন।
৩। আমের বটার অংশটি শুকিয়ে যাবে।
৪। আমগুলো হালকা নরম হবে।
“আসল আমের স্বাদ পেতে হলে ভালভাবে পাকিয়ে খাবেন !!!”
Reviews
There are no reviews yet.